আজ, দিল্লীতে এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক। আসন সমঝোতার বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নেওয়া হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, এবার আমজনতার দরবারেও পৌঁছে যাবে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের সারা ভারতজুড়ে জনসভা করবে ‘ইন্ডিয়া’র শরিকরা। আর জোটের প্রথম প্রকাশ্য জনসভাটি হবে ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। আগামী ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভোপালে ইন্ডিয়ার জনসভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন ইন্ডিয়া জোটের প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং বিজেপি সরকারের দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখে ওই জনসভা হবে। মূলত কংগ্রেস ওই জনসভার আয়োজনের দায়িত্বে থাকলেও ইন্ডিয়ার অন্য শীর্ষ নেতারা ওই জনসভায় থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এরপর এই ধরনের জনসভা আয়োজিত হবে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও।
পাশাপাশি, আজ ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে। ইন্ডিয়া জোটের দখলে থাকা বিহারে ইতিমধ্যেই জাতি সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম সমন্বয় বৈঠকে এই ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন জোটের নেতারা। সূত্রের খবর, আগামীদিনে এই জাতি সমীক্ষাকে জাতীয় স্তরে ইস্যু করতে পারে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে। মিডিয়া ট্রায়াল রুখতে কিছু কিছু টেলিভিশন সঞ্চালককে বয়কট করা হবে। এমনিতে কংগ্রেস একপেশে সংবাদ পরিবেশন এবং বিতর্ক সভায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে একাধিক টেলিভিশন সঞ্চালককে বয়কট করেছে। এবার সার্বিকভাবে এই বয়কটের পথে হাঁটল ইন্ডিয়া জোটও। কোন কোন সঞ্চালককে বয়কট করা হবে, তা ঠিক করবে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রচার কমিটি। সেই সঞ্চালকদের অনুষ্ঠানে যাবেন না ইন্ডিয়ার কোনও নেতা বা নেত্রী।