বেকারি, মূল্যবৃদ্ধির মতো কঠিন সমস্যায় দেশ, যদিও শ্রেণি-ধর্ম-সম্প্রদায় নিয়ে বিবাদ লেগে রয়েছে। এবার গুজরাটের স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের এক ধর্মগুরু সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তাঁর বক্তব্য, সনাতন নয়, একটি নতুন ধর্মের প্রয়োজন। এখানেই না থেমে মূর্তপুজোর বিরোধিতা করেন তিনি। এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ ‘সনাতন’ সম্প্রদায়। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি মোদীর রাজ্যের গেরুয়া নেতারা।
২৮ আগস্ট স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু আচার্য দীনেশ প্রসাদ স্বামী বলেন, ‘মন্দির থেকে দেব-দেবীর মূর্তি অপসারণ করতে হবে। আমাদের একটি নতুন ধর্ম তৈরি করতে হবে’। আচার্য দীনেশের এমন মন্তব্যেই বেজায় ক্ষেপেছে গুজরাটের ‘সনাতন’ গোষ্ঠী। এর পরেই দাবি উঠেছে, স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ১৯ শতকের ধর্মগুরু সহজানন্দ স্বামীর মূর্তির সামনে থাকা হনুমান মূর্তিটিকে সরাতে হবে। সানতন গোষ্ঠীর বক্তব্য, ভগবান রাম ছাড়া আর কারও সামনে হাঁটু গেড়ে এবং করজোরে থাকতে পারেন না ভগবান হনুমান।
স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায় এবং সনাতন গোষ্ঠীর সম্পর্ক চিরকালই আদায়-কাঁচকলায়। যদিও এবার তা চরমে উঠেছে। এর পরেও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি রাজ্যের বিজেপি নেতারা, সেখানে উদয়নিধি স্ট্যালিনের সনাতন মন্তব্য নিয়ে তোপ দেগেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ককে মাথায় রেখেই গেরুয়া শিবিরের মুখ বন্ধ, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। তবে দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে আসরে নেমেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায় এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে করেছেন তিনি। বৈঠক শেষে দু’পক্ষের যৌথ বিবতিতে অশান্তি মিটেছে বলেই জানানো হয়। যদিও সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে বলেই মনে করা হচ্ছে।