বাংলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমেই চরমে উঠছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যেভাবে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন, তা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আইনি নোটিস ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্যের। সূত্রের খবর, ই-মেল মারফত বৃহস্পতিবার রাজভবনে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে উত্তর দিতে হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।
রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে হস্তক্ষেপকে ঘিরে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত চলছিলই। গত মঙ্গলবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপের নামে রাজ্যপাল আদতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের কথা শুনে চললে, আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। এখানে টিট ফর ট্যাট। দেখি আপনি কীভাবে অধ্যাপকদের বেতন দেন।’
এরপরই গত বৃহস্পতিবার রাজভবনে বসে অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে বাংলায় বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল দাবি করেন, সরকারের মনোনীত উপাচার্যদের মধ্যে কেউ ছিল দুর্নীতিপরায়ণ, তো কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে। রাজ্যপালের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১টায় নর্থ গেটের বিপরীতে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলপন্থী উপাচার্য ও শিক্ষাবিদরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘এভাবে রাজ্য এবং রাজ্যের নিযুক্ত শিক্ষাবিদদের অপমান করার অধিকার রাজ্যপালের নেই। তাঁর ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।’ এবার রাজ্যপাল তথা আচার্যকে আইনি নোটিস ধরালেন প্রাক্তন ১২ জন উপাচার্য।