দীর্ঘদিন ধরেই দেশের কতিপয় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। গত বুধবার, মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকে সংবাদমাধ্যম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু টিভি চ্যানেল ও বিশেষ করে তাদের কয়েক জন নিউজ অ্যাঙ্করের শো বয়কট করবেন তাঁদের জোটের নেতারা। শরদ পাওয়ারকে পাশে বসিয়ে বেনুগোপাল সরাসরিই অভিযোগ করেন যে এই সব সাংবাদিকরা পক্ষপাতদুষ্ট। টিভি চ্যানেলে বিজেপির ন্যারেটিভ প্রচারের জন্য বসছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার জানা গেল, ১৪ জন টিভি উপস্থাপককে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’জোট। সেই সমস্ত সঞ্চালকদের শোতে যাতে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা কেউ না যান সেব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ, এই সমস্ত শো-গুলিতে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে বলেই দাবি করছেন তাঁরা।
এপ্রসঙ্গে সমাজমাধ্যম এক্স-এ কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা জানিয়েছেন, “অত্যন্ত বিষণ্ণ মন নিয়ে আমরা একটা তালিকা ইস্যু করছি। আমরা নিশ্চিত যে পরিস্থিতি ঠিকঠাক হবে। আশা করছি আগামী দিনে পরিস্থিতি ভালো হবে। যখন নতুন প্রজন্ম প্রশ্ন করবেন তখন অ্য়াংকররা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন। তখন তাঁরা কী উত্তর দেবেন?” যে যে টিভি সঞ্চালকের বিতর্কের অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের নাম :
রিপাবলিক টিভির অর্ণব গোস্বামী, টাইমস নাও নবভারতের নাভিকা কুমার, সুশান্ত সিনহা, আজ তকের সুধীর চৌধুরী ও চিত্রা ত্রিপাঠি, নিউজ ১৮ নেটওয়ার্কের আমন চোপড়া, আমিশ দেবগণ, আনন্দ নরসিংহ, ভারত এক্সপ্রেসের অদিতি ত্যাগী, ডিডি নিউজের অশোক শ্রীবাস্তব, ভারত ২৪ এর রুবিকা লিয়াকত, ইন্ডিয়া টুডের গৌরব সাওয়ান্ত ও শিব আরুর, ইন্ডিয়া টিভির প্রাচী পরাশর।