ইডির অফিসে টানা ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের জিজ্ঞাসাবাদ সামলে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে ফেলুদা-জটায়ু জুটির কথাও বললেন অভিষেক।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তপ্রক্রিয়া অনেকটা জটায়ুর দৃষ্টিভঙ্গির মতো। বললেন, ‘এরা আগে থেকে অপরাধী ঠিক করে নেয় মনে মনে। ঠিক করে নেয় এই ব্যক্তি, বা এই মহিলা, বা এই যুবক-যুবতীর মাথার উপর চাপিয়ে দিতে হবে। তারপর অপরাধ সাজানোর চেষ্টা করে। সেই জন্য কোনওদিন সুরাহা হয় না।’
কিন্তু কেন হঠাৎ ফেলুদা ও জটায়ুর প্রসঙ্গ টানলেন অভিষেক? সত্যজিৎ রায়ের এক অনবদ্য সৃষ্টি হল প্রদোষ মিত্র ওরফে ফেলুদা। তাঁর মগজাস্ত্রের জোরে বড় বড় কেস সামলে দিয়েছেন। আর জটায়ু ওরফে লালমোহন গাঙ্গুলিও হলেন সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি করা আরও এক চরিত্র। রহস্য-রোমাঞ্চ লেখক জটায়ু। রহস্য-উন্মোচনে ফেলুদার অন্যতম সঙ্গী তিনি। যে কোনও বিষয়ে সেই জটায়ু ও ফেলুদার দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক বার বার উঠে এসেছে সত্যজিৎ রায়ের লেখায়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনে আনেন অভিষেক। বললেন, একবার জটায়ু ফেলুদাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁরা দু’জনেই একই জিনিস দেখছেন। তারপরও ফেলুদা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করতে পারছেন, কিন্তু তিনি কেন পারছেন না?
অভিষেক বললেন, জটায়ুর সেই প্রশ্নের উত্তরে ফেলুদা বলেছিলেন, তফাৎ দৃষ্টিভঙ্গির। দু’জনেই একই জিনিস দেখছেন, কিন্তু ফেলুদা আগে অপরাধ দেখেন তারপর অপরাধী খোঁজেন। কিন্তু জটায়ু মনে মনে আগে ঠিক করে নেন, কে অপরাধী, তারপর অপরাধ তাঁর উপর জোর জবরদস্তি চাপিয়ে দিতে চান।