বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠের মন্দিরে বিশেষ পুজো শুরু হয়েছে। বুধবার রাত থেকে পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে মন্দির। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে মন্দির। আজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঙ্গল কামনায় তারাপীঠে পুজো দিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়র আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে পুজো দিতে যান ডেপুটি স্পিকার। তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুজো দেন। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে রয়েছে। ২৩শে সেপ্টেম্বর তিনি কলকাতা ফিরবেন। অভিষেক অবশ্য কলকাতায় রয়েছেন। এই পুজোর প্রসাদ ও ফুল দুজনের কাছেই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যায় ভোরবেলা মঙ্গলারতি দিয়ে পুজো শুরু হয়। মঙ্গলারতির পর পাঁচ রকমের মিষ্টি ও ক্ষীর দিয়ে তারা মাকে শীতল ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়া পুজো চলবে দিনভর।
উল্লেখ্য, ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার তিথি আর চার পাঁচটা অমাবস্যার চেয়ে আলাদা। হিন্দু ও বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে এর প্রভাব তান্ত্রিক চর্চায় বেশ তাৎপর্য রাখে। আলাদা করে এই তিথিতে বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার পুজো কাড়ে নজর। এই কৌশিকী অমাবস্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনি। তারাপীঠে সাধক বামাক্ষ্যাপা ১২৭৪ বঙ্গাব্দে এই কৌশিকী অমাবস্যার তিথিতেই সিদ্ধিলাভ করেছেন।ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বামাক্ষ্যাপা মা তারার আবির্ভাব পান। এছাড়াও এই তিথিতে দেবী কালিকা কৌশিকী রূপে বিশেষ সন্ধিক্ষণে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামের অসুরদের দমন করেন। এই তারার শিলামূর্তিকে স্নান করিয়ে পরানো হয় রাজবেশ। ফুলের সাজে সাজানো হয়। মন্দিরে পুজো দিতে ভোর থেকে ভক্তদের ভিড়। হুড়োহুড়ি এড়ানোর জন্য পূণ্যার্থীদের তিনটি আলাদা লাইন করা হয়েছে। এছাড়া গর্ভগৃহের ছবি দেখানোর জন্য লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। মন্দিরের নিরাপত্তাও মজবুত করা হয়েছে। এক হাজার পুলিশ কর্মী, ১৭০০ সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া একাধিক ওয়াচটাওয়ারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। একাধিক বাড়ির ছাদ থেকে নজরদারি চালাবেন নিরাপত্তাকর্মীরা।