রাজধানীতে সদ্যই অনুষ্ঠিত হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। এই আবহে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেও ফের নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সাকেত গোখলে দাবি করেছিলেন, জি-২০ সম্মেলনের জন্য বরাদ্দ অর্থের ৩০০ শতাংশ নাকি খরচ করা হয়েছে। তবে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। এর আগে সাকেতের দাবিকে বিভ্রান্তিকর বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিয়ে একটি পোস্ট করেছে ‘পিআইবি ফ্যাক্ট চেক’। বলা হয়েছে, সাকেতের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে যে অর্থ ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, তা স্থায়ী পরিকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়েছে। তা শুধুমাত্র জি২০-র জন্য সীমিত নয়। উল্লেখ্য, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য সরকার ৯৯০ কোটি টাকার বরাদ্দ করেছিল। এদিকে মোট ৪১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে জি-২০ সম্মেলনের জন্য। এই আবহে আজ এক দীর্ঘ পোস্টে সাকেত লেখেন, জি২০ সম্মেলনে খরচের জন্য সরকারে বরাদ্দ ছিল ৯০০ কোটি। কিন্তি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি দাবি করেন ৪১০০ কোটি খরচ হয়েছে এর জন্য। যার অর্থ, বরাদ্দের থেকে ৩০০ শতাংশ বেশি টাকা খরচ করেছে সরকার। আর এখন এই দুর্নীতি ঢাকতেই কেন্দ্রীয় সরকার বলছে যে, স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির জন্যই নাকি খরচ করা হয় টাকা!
পাশাপাশি সাকেত বলেন, “২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের সময়ও তো এরকম অনেক স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিল সরকার। সেগুলি এখনও আমরা ব্যবহার করি। তারপরও বিজেপি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে খরচ নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিল। আর সেই একই দল এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্যক্তিগত প্রচারের জন্য বরাদ্দের থেকে ৩০০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করছে। ” এর আগে সাকেত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেছিলেন জি-২০-এর সম্মেলন স্থল ভারত মণ্ডপম নাকি বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। “একজন সাংবাদিকের এই ভিডিও অনুসারে, বৃষ্টির কারণে আজ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সভাস্থল প্লাবিত হয়েছে। চার হাজার কোটি টাকা খরচ করার পর এই হল পরিকাঠামোর অবস্থা। জি-২০ তহবিলের এই চার হাজার কোটি টাকার কত টাকা আত্মসাৎ করেছে মোদী সরকার?”, প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।