এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তার মধ্যেই জল্পনা, এই প্রস্তাব কার্যকর করতে গেলে বিপুল পরিমাণ, প্রায় দশ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এক সমীক্ষার মাধ্যমে এই দাবি করেছেন সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের প্রধান তথা নির্বাচন ও নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত বিখ্যাত সমীক্ষক ও লেখক এন ভাস্কর রাও। তবে তাঁর দাবি, পুরো প্রক্রিয়া এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হলে এবং দলগুলি নির্বাচনী বিধি কঠোরভাবে মেনে চললে খরচ ৩ থেকে ৫ লক্ষ কোটি টাকায় কমিয়ে আনা যেতে পারে।
২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আনুমানিক ১.২০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন ভাস্কর রাও। এর মধ্যে অবশ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের খরচ হবে মাত্র ২০ শতাংশ। প্রচারের কাজে বাকি টাকা খরচ করবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এমনটাই বিশ্লেষণ তাঁর। তবে এর মধ্যে নয়া ইভিএমের খরচ ধরা হয়নি। এর সঙ্গে যদি দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে খরচ হবে আরও তিন লক্ষ কোটি টাকা।
দেশের ৫০০ পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা হলে আরও আনুমানিক এক লক্ষ কোটি টাকা এবং জেলা পরিষদ (৬৫০টি), পঞ্চায়েত সমিতি (সাত হাজার) ও গ্রাম পঞ্চায়েত (আড়াই লক্ষ) নির্বাচন একসঙ্গে হলে খরচ হবে ৪.৩০ লক্ষ কোটি টাকা। রাওয়ের হিসাবে এই সবক’টি নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করলেও খরচের দিক থেকে লাভের লাভ খুব একটা হবে না।
সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকাই ব্যয় হয়ে যাবে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করতে পারলে এই খরচ তিন থেকে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত কমানো যেতে পারে বলে রাওয়ের দাবি। তাই খরচ কমাতে এক দেশ এক নির্বাচনের যে সওয়াল বিজেপি করছে, তার বাস্তবতা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে।