প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের মাধ্যমে রাজকোষ ভরতে চাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়েছিল মোদী সরকার। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সেই কাজ পুরো দমে শুরু করছে তারা। ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, যে তাদের মূল লক্ষ্যই হল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থার মাথায় বেসরকারি ব্যক্তিদের বসানোও মোদী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার আর একটি দিক। এই ভাবনাকে সামনে রেখে এবার টেলিকম রেগুলেটরি অথিরিটি বা ট্রাইয়ের মাথায় অভিজ্ঞ বেসরকারি ব্যক্তি বসাতে আইন সংশোধন করার পথে এগচ্ছে সরকার। সংসদের আসন্ন বিশেষ অধিবেশনেই ১৯৯৭ সালের ট্রাই আইনের ৪ নম্বর ধারাটি সংশোধন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রের টেলিকম সেক্টরে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনও ব্যক্তি ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান হতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি আইনে বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানোর বিধান নেই। ট্রাইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান পিডি বাঘেলা ১৯৮৬ সালে গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অফিসার। সংস্থার প্রথম চেয়ারম্যান এসএস শোধি ছিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট সার্ভিসের নিয়ামক সংস্থা হল ট্রাই। টেলিকম ব্যবসার খুঁটিনাটি নজর রাখে এই সংস্থা। টেলিকম ব্যবসার যাবতীয় অনুমোদনও দেয় এই প্রতিষ্ঠান। পুরোদস্তুর সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাথায় বেসরকারি ব্যক্তিকে বসানোর বিষয়ে প্রশাসনিক মহলের ব্যাখ্যা হল, ট্রাইয়ের স্বার্থে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে এই সিদ্ধান্ত। এর আগে শেয়ার বাজারের নিয়ামক সংস্থা সেবির মাথায় বসানো হয়েছে বেসরকারি কর্তাকে। সেবির বর্তমান চেয়ারম্যান মাধবী পুরি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।