শেয়ারের দাম হেরফের সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি একটি হলফনামা পেশ করেছেন মামলাকারী। সেই হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, সেবি এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। শুধু তাই নয়, আবেদনকারীর আরও দাবি, ডিরেক্টোরেট অফ রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্সের থেকে আদানি সংক্রান্ত তথ্যের পাওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে ঘুমাচ্ছিল সেবি।
এর আগে গত ২৫ অগস্ট সেবির তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছিল, আদানি কাণ্ডে যে ২৪টি বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত করছিল, তার মধ্যে ২২টির তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে তারা আরও জানায়, যে বিদেশি সংস্থাগুলি আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিল এবং যার জেরে এই শেয়ারের দাম হেরফেরের অভিযোগ ওঠে, সেই সংস্থাগুলির সম্পর্কে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে তারা। সংশ্লিষ্ট দেশগুলির কাছে এই তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট হলফনামায় মামলাকারী অনামিকা জয়সওয়ল দাবি করেন, গত ২০১৪ সালে তৎকালীন সেবি চেয়ারপার্সনের কাছে আদানিকে নিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল ডিরেক্টোরেট অফ রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্স। সেই চিঠিতেই সেবিকে সতর্ক করা হয়েছিল যে আদানি হয়ত বেআইনি ভাবে তাদের শেয়ার দর হেরফের করছে। বেশ কিছু সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে বেশি খরচ দেখিয়ে সেই টাকা দিয়েই শেয়ারের দামে হেরফের করা হচ্ছিল বলে নাকি লেখা ছিল চিঠিতে।