সত্যসন্ধানী দলের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সরকারের দতেই দাঙ্গা হচ্ছে মণিপুরে। এই আবহে ৮ জুলাই ইম্ফল থানায় অ্যানি রাজা, নিশা সিদ্ধু ও দীক্ষা দ্বিবেদির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল। ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেনের সঙ্গে জড়িত এই তিনজনই। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, মানহানি ও দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রুজু হয়েছিল।
এদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া এই মামলাগুলি খারিজ করার জন্য দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন অ্যানি, নিশা ও দীক্ষা। তবে তাতে আপত্তি জানায় মণিপুর সরকার। এন বীরেন সিংয়ের সরকারের দাবি, মামলা খারিজের আবেদন করতে হলে তা মণিপুর হাই কোর্টে করে হবে। এই আবহে মামলা খারিজের জন্য যাতে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানানো যায়, সেই আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বার্থ হন এই তিন মহিলা। আর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে পড়তে হল মণিপুর সরকারকে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রকাশিত সত্যসন্ধানী রিপোর্ট সেই দলের মতামত মাত্র। এই আবহে মণিপুর সরকারের উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, সত্যসন্ধানী রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি মামলা করা যায় কি? এদিকে সত্যসন্ধানী দলের তিন সদস্যের আবেদন গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে। আর কেন এই তিনজন ফৌজদারি মামলা খারিজের জন্য দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করতে পারবেন না, সেই নিয়ে মণিপুর সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।