বছর ঘুরলেই দেশজূড়ে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতিপর্ব। রণকৌশল সাজাতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ২৬টি রাজনৈতিক দল। সম্প্রতিই মুম্বইয়ে বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠকে বিরোধী দলগুলি যথাসম্ভব সমঝোতা করে আসন ভাগাভাগি করে লড়ার কথা বলেছিল। বৈঠকে উপস্থিত দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ক্ষমতার লোভে নয়, দেশের স্বার্থেই লড়াই করবে বিরোধী জোট।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের পরামর্শদাতা হিসেবে বাংলায় গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় দায়িত্বে ছিলেন পিকে। ভোটের পর অবশ্য ‘পরামর্শদাতা’-র কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে তাঁর ভবিষ্যৎবাণীর উপর আস্থা হারাননি কেউই। সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন। পিকের কথায়, “আমার মতে আসন সমঝোতার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর সে ৭০ শতাংশ আসন সমঝোতা হোক বা ৯০ শতাংশ আসন সমঝোতা হোক। অর্থাৎ আসন সমঝোতা আগে বা পরে তার উপর জোটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।”
পাশাপাশি প্রশান্ত বলেন, “এই রাজ্যগুলিতে মিলিয়ে ঝুলিয়ে ১০০-এর বেশি আসনও নেই। ৪২৫ আসনে কমপক্ষে ফোকাস করা জরুরি। মহারাষ্ট্র বা তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নে। এই রাজ্যগুলিতে আসন সমঝোতার মতো বিষয়টা চূড়ান্ত করে ফেলা উচিত।” যে যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, সেইগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যদি বাকি বিষয়গুলিতেই দেরি করা হয়, তাহলে তা আখেরে সমস্যাজনক হতে পার বলেই জানিয়েছেন তিনি।