বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নের পর বিশেষ জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে আমজনতি। মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এবার বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা আরও বেশি করে পেতে চলেছেন রাজ্যবাসী। এমনই পদক্ষেপ নিচ্ছে।রাজ্য। এখন বাংলার সাতটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা মেলে। সেটাকেই আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে ওই সাতটি হাসপাতাল বাদ দিলে আরও ৪৫টি সরকারি হাসপাতালে এই পরিষেবা মেলে পিপিপি মডেলে। সেখানে এবার নতুন আরও ২৪টি হাসপাতালে এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সুতরাং এই রোগে আক্রান্ত মানুষজন শহর থেকে গ্রামবাংলায় বিনামূল্যে আরও বেশি করে ডায়ালিসিস পরিষেবা পাবেন। সুতরাং রাজ্যের ডায়ালিসিস নেটওয়ার্কে যুক্ত হাসপাতালের সংখ্যা বেড়ে হবে ৭৬। আর এই নতুন ২৪টির বেশিরভাগই মহকুমা এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতাল।
এবিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বিধাননগর হাসপাতালে মিলবে এই পরিষেবা। আর ২৩টি জায়গায় বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা চালু হবে। সবগুলিই হবে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ। বিনামূল্যে ডায়ালিসিস চালু হবে কালনা থেকে শুরু করে ফালাকাটা, টিএল জয়সওয়াল, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, চাঁচল, সল্টলেক, হলদিয়া, ডোমকল, জঙ্গিপুর, নন্দীগ্রাম, ঘাটাল, খড়্গপুর, দিনহাটা, শ্রীরামপুর, কালিম্পং, বনগাঁ, রঘুনাথপুর, ইসলামপুর, বড়জোড়া, কাকদ্বীপ, তেহট্ট, কান্দি এবং নয়াগ্রাম হাসপাতালে। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গিপুর, ডোমকল, কান্দি এবং নয়াগ্রাম খুব কাছাকাছি। উল্লেখ্য, বেসরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকে ডায়ালিসিস খুব খরচসাপেক্ষ। এই বিষয়ে স্টেট ডায়ালিসিস নেটওয়ার্কের অন্যতম মেন্টর এনআরএস হাসপাতালের নেফ্রোলজি’র প্রধান ডাঃ পিনাকী মুখোপাধ্যায় জানান, “মহকুমা থেকে সুপার স্পেশালিটি স্তরেও বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাতে সাধারণ মানুষ বিরাট খরচ থেকে রেহাই পাবেন।” আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর। অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা চলছিল। এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে চিকিৎসক-মহল।