উপনির্বাচনের মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে চমক দেখিয়ে শুক্রবার গণনার দিন মুখ থুবড়ে পড়ছে বিজেপি। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির এই হারের পিছনে অনেকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে আদি বিজেপি নেতা তথা গেরুয়া শিবিরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দীপেন প্রামানিককে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে টেক্কা দিতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়কে যোগদান করিয়ে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার।
মিতালিকে দলে টানার জন্য কলকাঠি নেড়ে ছিলেন শুভেন্দু। মূলত শুভেন্দুর উদ্যোগ ও যোগাযোগেই মিতালি ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। কিন্তু জেলা নেতৃত্বকে এড়িয়ে গিয়ে মিতালির যোগদান একেবারে ভালোভাবে নেয়নি স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজেপির নিচুতলার কর্মীরাও এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন।
প্রাক্তন বিধায়ককে দলে নিয়ে ভোটের আগে শাসকদলকে ‘ঝটকা’ দিতে চেয়েছিল পদ্মশিবির। কিন্তু এই যোগদান ঘিরে ভোটের ঠিক আগে বিজেপির শিবিরের অন্দরের ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়। রবিবারই মিতালির যোগদানের পর নীচুতলার বিজেপি কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ সামনে এসেছিল। গত, রবিবার রাতেই মিতালী রায়ের যোগদান নিয়ে দলের শীর্ষনেতাদের নেতাদের নিশানা করেন কোচবিহারের বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় সাহা। মিতালির যোগদানের পর তাঁর আক্ষেপ- ‘২০২১ থেকে বিজেপি এখনও পর্যন্ত কোনও শিক্ষাই নেয়নি’। শুধু তাই নয়, নিজের বুথেও হেরে গিয়েছেন মিতালি।