সংবিধান মেনে চলুন রাজ্যপাল। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। এমনই দাবি তুলে রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে ধর্নায় বসেছেন প্রাক্তন উপাচার্যেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার দাবি ও উপাচার্য নিয়ে স্থায়ী সমাধান চেয়ে রাজভবনের নর্থগেটের উল্টোদিকে এই ধর্না চলছে উপাচার্যদের সংগঠন ‘দ্য এডুকেশনিস্ট’স ফোরাম’-এর। যেখানে হাজির রয়েছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুবোধ সরকার, শিবাজীপ্রতিম বসু, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম পাল, অভীক মজুমদাররা। এদিনের কর্মসূচি নিয়ে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি আচার্য তাঁকে খোলা চিঠি দেবো। বাংলার কৃতী শিক্ষাবিদরা আজ এখানে এসেছেন। আমরা কোনও মাইকের ব্যবহার করছি না, কোনও ধরনা নয়। আমাদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, চিঠি এখানে তুলে ধরতে এসেছি।’
সুবোধ সরকারের কথায়, ‘আমি তো উপাচার্য নই, উপাচার্যও হব না। তবু রাস্তায় নামতে বাধ্য হলাম। কারণ, আমি একজন অধ্যাপক হিসাবে মনে করি রাজ্যপাল যা করছেন তাতে ওঁদেরই যে দফতর ইউজিসির নিয়ম মানছেন না। নিশুতিরাতে উনি একে ওকে উপাচার্য করে দিচ্ছেন। কাউকে করার পর আবার তাড়িয়েও দিচ্ছেন। এটা বিচিত্র। স্বাধীনতার পর এরকম ঘটনা আমরা দেখিনি। এরকম উদ্ভট কাণ্ড কোনও রাজ্যপাল করতে পারেন, ভাবতে পারি না। প্রথম কোনও রাজ্যপালকে দেখলাম। বিশেষ করে ওনার কাছ থেকে আশা করিই। কারণ, উনি এক উচ্চশিক্ষিত মানুষ। তিনি একজন লেখক। তাঁর এ কী কাণ্ড!’ আবার শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের মতে, ‘সব ধরনের শিক্ষায় বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। এটা না কাটানো গেলে বাংলা মুখ থুবড়ে পড়বে।’