ভাঙড়ে আবারও ভাঙন দেখা দিল ভাইজানের দল আইএসএফে। এবার কয়েকশো আইএসএফ কর্মী আজ যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ভাঙড়ের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নাটাপুকুর ৬১ নম্বর বুথ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন আইএসএফ কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খইরুল ইসলামের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন আইএসএফ কর্মীরা। আর তাতেই নিজেদের গড়ে ক্ষয়ের মুখে পড়ল ভাইজানের দল বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই ভাঙন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এবং পরে ভাঙড় জুড়ে একাধিক জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এবং পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বহু আইএসএফের কর্মী–সমর্থকরা। তাতে ভাইজানের দলে ক্ষয় শুরু হয়েছিল। এবার যেন জোর ধাক্কা সহ্য করতে হল। দলবল বেঁধে শতাধিক আইএসএফ কর্মীরা যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে। সুতরাং এখন গোটা বিষয়টাই হজম করতে হচ্ছে। আইএসএফ কর্মী আরসাদ সাঁফুই সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘নিজেদের ভুল বুঝে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলাম। দেরি হয়নি ভুল বুঝতে। এলাকায় উন্নয়ন করতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকতে হবে।’
এদিকে ভাঙড়ে ১০০ জন আইএসএফ কর্মী আগেও যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তখন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের হাত ধরে তাঁদের দলবদল হয়েছিল। ওই আইএসএফ কর্মীরা মূলত ভাঙড়ের ভোগালি–২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই তপ্ত ছিল ভাঙড়। বোমাবাজি, গোলাগুলি হয়। ১৪৪ ধারার মধ্যে মধ্যে নির্বাচন শেষ হয়। তারপরও অবশ্য জারি ছিল অশান্তি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর দল বিরাট কোনও ফল করতে পারেনি। তাই এখন ভাঙড়ে অব্যাহত দলবদলের ধারা।