আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের পরেই ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে দু’বছরের চুক্তি সমাপ্ত হচ্ছে রাহুল দ্রাবিড়ের। তার পর তাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে? তার অনেকাংশই নির্ভর করছে বিশ্বকাপে ভারতের ফলাফলের উপর। ভারত যদি বিশ্বকাপের ফাইনালে বা সেমিফাইনালে না উঠতে পারে, তা হলে সবার আগে বোর্ডের রোষের কবলে পড়তে পারেন দ্রাবিড়। আবার, ভারতের হাতে ট্রফি উঠলে দ্রাবিড় নিজে নতুন চুক্তিতে সই করবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। ভারতীয় দলকে তিনটি ফরম্যাটেই কোচিং করানোর চাপ যে কতটা বেশি সেটা দ্রাবিড় গত দু’বছরে অনেক বার বুঝেছেন। তাই বিশ্বকাপের পরে ভারতে লাল এবং সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা আলাদা কোচ দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। শোনা যাচ্ছে, বিশ্বকাপের পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা (অ্যাওয়ে) এবং ইংল্যান্ড (হোম) সিরিজ থাকায় লাল বলের কোচ হিসেবে রেখে দেওয়া হতে পারে দ্রাবিড়কে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দু’বছরে দ্রাবিড় একাধিক বার বিশ্রাম নিয়েছেন কোচিং থেকে। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড সিরিজে তিনি দলের সঙ্গে যাননি। ফলে আগামী দিনে আশিস নেহরার মতো কাউকে ভারতের সীমিত ওভারের কোচ হিসাবে দেখা যেতেও পারে। বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “যদি ভারত বিশ্বকাপ জেতে তা হলে দ্রাবিড় নিজেই হয়তো আবার চুক্তিতে সই করতে চাইবে না। কারণ ও মাথা উঁচু করে কোচিং কেরিয়ার শেষ করতে চায়। কিন্তু আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন তা হলে বলব, বোর্ডের এ বার উচিত গুরুত্ব দিয়ে আলাদা ফরম্যাটের জন্যে আলাদা কোচের কথা ভাবা। সে ক্ষেত্রে রাহুলকে টেস্ট দলের কোচ হিসাবে রেখে দেওয়া উচিত।” রবি শাস্ত্রী জমানার পর অনেক ঘটা করে দ্রাবিড়কে আনা হলেও কোচ হিসাবে বিরাট কিছু করেছেন তা বলা যাবে না। কঠিন সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অপারগতা একাধিক বার দেখা গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিতর্কিত দল নির্বাচন, টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে রবি অশ্বিনকে বসানো-সহ তাঁর একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বয়ে গিয়েছে সমালোচনার ঝড়।
