আরও একবার বেআব্রু হল বঙ্গ বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের শোচনীয় চিত্র। বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই গোষ্ঠীকোন্দলের জর্জরিত গেরুয়াশিবির। বঙ্গ বিজেপিতে অবাঙালিদের দাপট নিয়ে আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। এবার সটান চিঠি গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর কাছে। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা কমিটিতে অবাঙালিদের কর্তৃত্বের জেরে কোণঠাসা বাঙালিরা। এই অভিযোগ তুলে সোজা শাহকে চিঠি লিখে বসলেন ওই এলাকার কর্মীদের একাংশ। গত ২৬শে আগস্ট বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা কমিটি তৈরি হয়। অভিযোগ, ২৫ জনের কমিটির মধ্যে ১৩ জনই অবাঙালি। তাতেই ক্ষোভ দলের অন্দরে। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য কমিটি, যুব মোর্চা এবং কলকাতার দুই সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে অবাঙালিদের সংখ্যা তুলনায় বেশি। তাতেই ক্ষুব্ধ বাঙালি কর্মীদের একাংশ। অমিত শাহকে চিঠি লিখে তাঁরা নালিশ জানিয়েছেন, বাংলায় কোণঠাসা বাঙালি কর্মীরাই। এর বিহিত না করলে লোকসভা নির্বাচনে বসে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য কমিটি, যুব মোর্চা এবং কলকাতার দুই সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে অবাঙালিদের সংখ্যা তুলনায় বেশি। বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরাও উত্তর ভারতের বাসিন্দা এবং অবাঙালি। দলে অবাঙালিদের আধিপত্যের কারণেই বঙ্গে বিজেপি এগোতে পারছে না। তাঁরা বলছেন, দক্ষিণ কলকাতার জেলা কমিটি দেখলে মনে হবে, এটা বিহার বা উত্তরপ্রদেশের জেলা কমিটি। জেলার সহ-সভাপতি সৌমেন দত্ত রায়কে নিয়েও বিস্তর অভিযোগ। কর্মীদের দাবি, তাঁর কংগ্রেস এবং বিজেপিতে যাতায়াত রোজকার ব্যাপার। উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাঙালি-বহিরাগত একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেকেরই বক্তব্য ছিল, বিজেপি বাংলার দল নয়। এবার সেই তত্ত্বে সিলমোহর দিলেন খোদ দলের কর্মীরাই। ফলত প্রবল চাপে গেরুয়াশিবির।