ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার মহাসমারোহে আত্মপ্রচারের বুলি আওড়াতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেপ্রসঙ্গে ফের তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানাল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ‘আত্মপ্রেমী’ প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘শুধু আমি আর আমি’ ছাড়া কোনও বুলি নেই, এই বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “২০১৪ সালে কেউই জানতেন না মোদীকে। তবুও তাঁরা আমাকে ভোটে জিতিয়েছিলেন বিরাট জনাদেশে। পরের দশ বছরে তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন সর্বত্রই কমবেশি মোদী রয়েছে। সে চন্দ্রযান মিশন হোক কিংবা আমার সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে। এখন তাঁরা আমাকে ভাল করেই চেনেন। আমার সন্দেহ নেই মানুষ সঠিক নির্বাচনই করবেন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সামনের বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই মোদী দাবি করলেন, সামনের বছর তাঁর ফের মসনদে বসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। স্বভাবতই এ নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
এরপরেই নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দাগে তৃণমূল। একটি পোস্টে মোদীকে ‘আত্মপ্রেমী’ বলে তোপ দাগে দলটি। তারা লেখে, “আমরা বিভ্রান্ত, তিনি প্রধানমন্ত্রী না প্রচারমন্ত্রী?” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দেশের নাম সরকারিভাবে ভারত করা হবে বলে সম্প্রতি জল্পনা তৈরি হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির তরফে যে আমন্ত্রণপত্র তৈরি হয়েছে, সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। আসরে নেমেছে ইন্ডিয়া জোটও। নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।