সময়সীমা বাড়ল আরও ১৫ দিন। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সঙ্গে বাংলার অমীমাংসিত কর সংক্রান্ত মামলা বিভিন্ন ট্রাইবুনাল বা কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে, সেগুলি নিষ্পত্তির জন্য ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বকেয়া কর, সুদ, পেনাল্টি, লেট ফি ইত্যাদি সংক্রান্ত সমস্যা নামমাত্র টাকায় মেটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। শিল্প সংগঠন ও বণিকসভাগুলির আবেদনের প্রেক্ষিতে, সময়সীমা বাড়িয়েছে রাজ্য অর্থদফতর। ১লা এপ্রিল থেকে প্রকল্পটি চালু হয়েছিল। অর্থদফতরের দাবি, প্রথম আড়াই মাসে প্রায় ১২ হাজার সংস্থা এই প্রকল্পের সুযোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে রাজ্য।
এপ্রসঙ্গে অর্থদফতরের বক্তব্য, প্রাক জিএসটি আমলে কর সংক্রান্ত যে বিরোধগুলি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল, এবং আজও যেগুলির নিষ্পত্তি হয়নি; তার বকেয়া করের ১৫ শতাংশ মেটালেই সংস্থাগুলি নিজেদের আর্থিক বিবরণী আরও বেশি স্বচ্ছ রাখতে পারবে। যা শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনেকটাই আর্থিক রেহাই দেবে বলেই মত অর্থদফতরের। ১৫ শতাংশ কর মিটিয়ে ভ্যাট, জিএসটি এবং সেলস ট্যাক্সের ক্ষেত্রেও বিরোধের মীমাংসা করা যাবে। পেনাল্টি, সুদ এবং লেট ফি বাবদ বকেয়ার ক্ষেত্রেও ১০০ শতাংশ রেহাইয়ের সুযোগ পাবেন করদাতারা। এন্ট্রি ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বকেয়া করের ৫০ শতাংশ মেটালেই সমাধান হবে। আর পেনাল্টি তথা অন্যান্য বকেয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ট্রান্সপোর্ট সংস্থাগুলিও রাজ্য সরকারের এই স্কিমের আওতায় আসতে পারবে। ট্রান্সপোর্ট সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে কর বকেয়া রাখার জন্য যে পেনাল্টি দেওয়ার কথা, তার দুই শতাংশ বা ১৫ হাজার টাকা, দুয়ের মধ্যে যা কম, তা মিটিয়ে দিলেই মীমাংসা হবে। রাজ্য সরকার তরফে জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন কোর্ট ও ট্রাইবুনালে ২৫ হাজার মামলা ছিল। তারাই এই সমস্যার সুরাহা করার সুযোগ পেয়েছে।