প্রবল বিতর্কের মুখে মোদী সরকারের আরও একটি সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে চরমে পৌঁছেছে শোরগোল। ২০২৩ বাজেটে ‘ অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের’ কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যার মাধ্যমে দেশের ১৩০৯টি স্টেশনকে বিশ্বমানের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। এর ফলে ওই স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় হকার, বাজার, বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করছে রেল। কিন্তু তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি রেল। ফলত অনিশ্চয়তার আঁধারে দিন গুজরান হচ্ছে বহু মানুষের। দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তাঁরা। জাতীয় বাংলা সম্মেলন নামে একটি সংগঠন স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় হকার, বাজারের দোকানদার, বস্তিবাসীদের হয়ে বেশ কিছু দাবি রেখেছে রেল মন্ত্রকের কাছে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, অবিলম্বে রেলের ভ্রাম্যমাণ, স্টেশন-বাজারের হকারদের উপর একটি সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করে রেল হকার পলিসি সংসদে পেশ করতে হবে। পাশাপাশি, সেই রেল হকার পলিসির উপর ভিত্তি করে রেলের হকারদের সুরক্ষার জন্য আইন আনার দাবি তুলেছে উক্ত সংগঠন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাকি দাবিগুলি।
১) প্রতিটি রেলের ডিভিশনে রেল প্রশাসন, আরপিএফ, জিআরপি, যাত্রী, হকার, বাজার, স্টেশন দোকানদারদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘রেলওয়ে হকার্স অ্যান্ড প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার কমিটি’ গঠন করতে হবে।
২) ৪০% হকারদের প্রতিনিধি ও ১০% রেলে জনকল্যাণ মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাখতে হবে।
৩) হকার প্রতিনিধিরা প্রতি ২ বছরে বৈধ্য লাইসেন্স প্রাপ্ত হকারদের দ্বারা নির্বাচিত হবে। হকারদের বিষয়ে এই কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকে সর্বোচ্চ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই কমিটির অনুমতি ছাড়া কোনো হকার উচ্ছেদ করা যাবে না।
৪) অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় আসা প্রত্যেক রেল স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকার সামাজিক নিরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট রেলের জমা দিতে হবে ‘পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি’তে।