শনিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের প্রচারে সারলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই এই শহরের বাসিন্দাদের দাবি, ধূপগুড়ি আলাদা মহকুমা হোক। শনিবার অভিষেকের সভাতেও সেই দাবি তুলেছিল উপস্থিত আমজনতা। তাঁদের সেই দাবিপূরণের আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের আগে ধূপগুড়ি আলাদা মহকুমা হবে, এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক। একইসঙ্গে ধূপগুড়ির হাসপাতাল, বিরুপাক খাল সংস্কার-সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এদিনের সভায় পৌঁছনোর আগেই রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে আমজনতার অভাব-অভিযোগ শোনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দোমোহনি বাজার-সহ বেশ কিছু রাস্তা খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তা নিয়ে অভিযোগ করে তারা। অভিযোগ শুনে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের আশ্বাসও দেন অভিষেক। এরপর সভামঞ্চে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক। তারপর সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে প্রবল কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ।
এদিন পদ্মশিবিরকে একহাত নিয়ে অভিষেকের বক্তব্য, “ঊনিশ, একুশের ভোটে ধূপগুড়ির মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। তবু উন্নয়ন থামেনি। রাজ্য সরকার মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবেছে। অথচ যারা ভোট পেয়েছে তারা এলাকার মানুষের কথা ভাবেনি।” এর আগে ধূপগুড়ি হাটের উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক। সেই কথা তিনি রেখেছেন। হাটের উন্নয়ন হয়েছে ইতিমধ্যে। এবার ধূপগুড়ি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিরুপাক খাল সংস্কার যে কাজ শুরু হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এর ফলে লক্ষাধিক কৃষক উপকৃত হবে। এরপরই সভায় ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা করার দাবি ওঠে। দাবি শুনে অভিষেক বলেন, “আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমি কথা রাখার ছেলে। আমি দাবি শুনে বলতে পারতাম, মহকুমা হবে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। কিন্তু আমি নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছি। এখন থেকে সবুজ আবির খেলতে শুরু করুন। ৩১শে ডিসেম্বরের আগে ধূপগুড়ি আলাদা মহকুমা হবে। কথা দিয়ে গেলাম।” উল্লেখ্য, বানারহাট ব্লকের দাবিপূরণা আগেই করেছে তৃণমূল। তবে এদিনের সভা থেকে সিপিএমকে নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি অভিষেক। বরং লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জয়ের পক্ষে সওয়াল করতে শোনা গিয়েছে বারবার। যা অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।