‘ইন্ডিয়া’ জোটের তৃতীয় বৈঠকেও লক্ষণীয় নৈকট্য দেখা গেল কংগ্রেস এবং তৃণমূলের। বৈঠক শেষের পর দেখা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোনিয়া গান্ধী হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসছেন। আবার, বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই বসতে দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। এমনকী তৃণমূল নেত্রী জোটের আগামিদিনের লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়ার পর তাতে সায় দেন সোনিয়াও।
পর পর বৈঠক করলেই হবে না, দ্রুত আন্দোলন চাই। এ কথা জোট নেতাদের মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘নষ্ট করার মতো সময় নেই। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’ বৈঠকে অনেকেই মমতার সুরে জানিয়েছেন যে, বিজেপি যে কোনও সময় লোকসভা ভোট এগিয়ে আনতে পারে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে। মমতার সুরে কংগ্রেস, আপ-সহ অনেকেই সম্মতি দেন।
শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাবতীয় আসন সমঝোতা সংক্রান্ত আলোচনা সেরে ফেলতে হবে। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাট থেকে জোটের প্রাথমিক কর্মসূচি ঘোষণা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চাইছেন জোটের নেতারা। ওইদিন যে পাঁচ-ছ’টি বিষয় ঘোষণা করা হবে, সেটাই ‘ইন্ডিয়া’র ইস্তাহারের ভিত্তি হতে পারে।
মমতা বন, জোটের সবাই মিলে রাজঘাট থেকে এই ঘোষণা করা যেতে পারে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে। তার আগে শুক্রবার আলাদা করে জোটের লোগো প্রকাশ হয়ে যেতে যাবে। এদিন একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি তৈরি হবে। জোটের একজন কনভেনরও থাকতে পারেন।