একদিকে যেমন প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তেমনই প্রার্থমিক শিক্ষা পর্ষদও তাকিয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দিকে। এবার যেমন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের থেকে ছাড়পত্র না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকে চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ব্যাচ ও ২০১৭ সালের ব্যাচের মধ্যে রীতিমতো আইনি লড়াই চলছে।
তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে আমরা প্যানেল প্রকাশ করতে পারছি না। আশা করছি শীঘ্রই ছাড়পত্র পাব। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও পর্ষদ সভাপতির পাশে ছিলেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জন্য এখনও আমরা আটকে রয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেব। অর্থাৎ গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে শীর্ষ আদালতের ছাড়পত্রের ওপর।
গৌতম পাল বলেন, সরকার চাকরি দিতে চাইছে। আমি দলে দলে প্রতিদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। ২০১৪ সালের ব্যাচ আসছে। তারা বলছে আমাদের দিন, ২০১৭ সালের ব্যাচকে দেবেন না। আবার ২০১৭ সালের ব্যাচ আসছে। তারা বলছেন, স্যার আমাদের দিন, ২০১৪ সালের ব্যাচকে দেবেন না। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কোর্টে চলে যাচ্ছে। বোর্ডের বিরুদ্ধে নয়, বোর্ডকে পার্টি করা হচ্ছে।