আজ ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে নামবে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। বাড়তি সতর্ক সবুজ-মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আত্মতুষ্টিকে প্রশ্রয় দিতে একেবারেই রাজি নন তিনি। ডুরান্ডের শেষ চারের লড়াইয়ে শুধু ডিফেন্ডার ব্র্যান্ডন হ্যামিলকেই পাচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবির। তাছাড়া পুরো দলই তৈরি। গোয়ার ম্যাচগুলির কাটাছেঁড়া করে শক্তি এবং দুর্বলতা বের করেছেন ভিডিও অ্যানালিস্টরা। সেগুলোকে মাথায় রেখেই প্রস্তুতি চলছে মোহনবাগানের। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দু’টি কঠিন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে সবুজ-মেরুনকে। তাই দলে দু-একটি পরিবর্তন হতে পারে। বদল হতে পারে রণনীতিতেও। মোহনবাগানের কোচ ফেরান্দো বলছেন, ”মুম্বইয়ের মতো গোয়ার দলে ভারসাম্য রয়েছে। দল হিসেবেও শক্তিশালী।” প্রসঙ্গত, গতবারের এফসি গোয়া ও এবারের গোয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। গোয়ার কোচ নতুন। নোয়া, উদান্ত, সন্দেশ, কার্ল ম্যাকহিউয়ের মতো খেলোয়াড় রয়েছেন দলে। ফলে এফসি গোয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ।
ফেরান্দো বলছেন, ”এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এখনও বাকি। গোয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলা তাই ভাল প্রস্তুতি ম্যাচই হবে।” বিভিন্ন কারণে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি ভাল করে হয়নি মোহনবাগানের। সেরা ফর্মে পৌঁছতে তাই আরও কয়েকটা ম্যাচ খেলতে হবে বলে মনে করছেন ফেরান্দো। শেষ চারের লড়াইয়ে ফর্মেশনে কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে। মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছি বলে গোয়াকেও হারাবো, এমন আত্মতুষ্টিতে আমি এবং আমার দল ভুগতে রাজি নয়। বলতে পারেন আমরা আত্মবিশ্বাসী, তবে আত্মতুষ্ট নই। প্রতিটি ম্যাচই আলাদা দিনে হয়, আলাদা পরিস্থিতিতে হয়।” গোয়ার ম্যাচ দেখেছেন ফেরান্দো। ”আমি আত্মবিশ্বাসী যে স্ট্র্যাটেজি অনুয়ায়ী খেললে এবং গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমরাই জিতব। ফাইনালে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে গোয়াও। ফলে ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি হবে। ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়তে হবে জেতার জন্য”, জানিয়েছেন তিনি।