হার মানবে সেলুলয়েডও! এএসআই রতনকুমার রায়ের অসমসাহসিকতায় মুগ্ধ নদিয়ার ব্যবসায়ী মহল। একদিকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে একের পর এক গুলি ছুঁড়ে পালানোর পথ খুঁজছে দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে তাদের ধরতে প্রাণ বাজি রেখে দৌড়েছেন রাণাঘাটের পুলিশ কর্মী রতনকুমার রায়। পুলিশি রিভলবার নিয়েই ছুটে গিয়েছেন দুষ্কৃতীদের ধরতে। পাল্টা চালিয়েছেন গুলি। তাঁর সাহসিকতাতেই প্রচুর সোনা-গয়না উদ্ধার হয়েছে।
রতনবাবুর চেহারা বেশ ভারী। ওজন ১০০-র বেশি। যা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বন্ধুদের মহলে ঠাট্টা-বিদ্রূপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু মনের সাহস আর কাজ করতে চাওয়ার ইচ্ছেটাই যে শেষ কথা, চেহারা যে কোনও প্রতিবন্ধকতা নয় তা মঙ্গলবার বিকেলে প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। এত বড় সাফল্যের পর রতন রায় তাঁর বাবার আশীর্বাদ এবং রানাঘাট থানার আইসি সঞ্জীব সেনাপতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলছেন, একটা কথাই মাথা ঘুরছিল। পুলিশের সম্মান বাঁচাতে হবে। যেভাবেই হোক মান রাখতে হবে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সব পুলিশের এধরনের কাজে এগিয়ে আসা প্রয়োজন, এমনটাই মনে করেন তিনি।
