আত্মপ্রচারসুলভ কার্যকলাপে বরাবরই দড় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নানান ক্ষেত্রে তার পরিচয় পেয়েছে দেশবাসী। ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ নিয়েও গালভরা প্রচার করেছেন মোদী। তবে এই ট্রেনের পেছনে যাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, তিনি হলেন সুধাংশু মণি। ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু। তিনি তাঁর চাকরিজীবনের একেবারে প্রথমবেলায় এই বাংলাতেই কর্মরত ছিলেন। কলকাতায় পূর্ব রেলে তিনি শিক্ষানবীশ হিসাবেও ছিলেন। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আইসিএফ টিম তৈরি করেছিল এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন। একের পর এক পালক ভারতের রেলের ইতিহাসে যোগ হল। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেন। তিনি জানিয়েছেন, “এটা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। ভালো ট্রেন। তবে আমি এটাকে বিশ্বমানের বলতে চাই না। কারণ এটাকে বিশ্বমানের করতে গেলে অনেক কিছুতে বদল আনতে হবে। এর বাইরে, ভেতরের সজ্জায় অনেক বদল আনতে হবে। সেটা ধাপে ধাপে হতে পারে। এতে চার্জ বেশি হতে পারে।”
পাশাপাশি তিনি জানান, “ভবিষ্যতের ট্রেন হল অ্যালুমিনিয়ামের। সেক্ষেত্রে আগামী বন্দে ভারত অ্যালুমিনিয়াম হতে পারে। স্লিপার ভার্সন আসতে পারে। তবে সাধারণ মানুষের সাধ্য়ের মধ্যে বন্দে ভারত করা দরকার। তবে তার মানে এটা নয় যে এসি তুলে দিতে হবে। এটাতে আমি বিশ্বাস করি না। বরং ট্রেনে এসি থাকুক এটা চাই। তবে বন্দে ভারত যাতে সাধারণের সাধ্যের মধ্যে হয় এটাও দেখা দরকার। তবে বন্দে ভারত মেট্রো নিয়ে আমি খুব আশাবাদী নই। ১০০ কিমির মধ্যে যাত্রা। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না দুটি শহরের মধ্যে যোগাযোগকারী বন্দে ভারতের এই ভাড়া কতটা মানুষ দিতে পারবেন? তবে বন্দে ভারত মেট্রো সফল হবে কি না সেটা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন রয়েছে। তবে আমি বলতে চাই বন্দে ভারত সাধারণ মানুষের জন্য দূর পাল্লার করা দরকার। তাতে যেন ভাড়াটা সাধ্যের মধ্যে থাকে। এতে অনেকটা পুষিয়ে যাবে যাত্রীদের।” শুধু এলিটদের জন্য যেন না হয়, মণি সে বিষয়টিও দেখার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
![‘ভালো ট্রেন, কিন্তু বিশ্বমানের নয়’ - বন্দে ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাফ জানালেন অন্যতম কারিগর](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2023/08/25-8.jpg)