আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বসেছিল বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক। সেখানেই নির্ধারিত হয়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। সেই প্রস্তাবে শাসকদলের তরফে একমাত্র বক্তা হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারের অধিবেশনের প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে ‘দ্য কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সংশোধনী বিল ২০২৩’ পেশ করা হবে। আর ৭ তারিখে প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং দ্বিতীয়ার্ধে পেশ হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাব। তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় শাসকদলের মাত্র এক জন বক্তৃতা করবেন। সেই বক্তা হবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, এই আলোচনার জন্য এক ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে আধ ঘণ্টা বরাদ্দ রয়েছে বিরোধী দল বিজেপি পরিষদীয় দলের জন্য। সম্প্রতি ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা ইতিহাসবিদ সুগত বসুকে উপদেষ্টা করে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস নির্ধারণ কমিটি’ তৈরি হয়। আহ্বায়ক করা হয় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রসঙ্গত, ১৮ এবং ২১ তারিখে দু’দফায় বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ১ বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে পালন করার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা-ও সিদ্ধান্ত হয়। আর সেই অনুমোদন পাওয়ার পরেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মমতা। গত মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বের পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সর্বদলীয় বৈঠক। উক্ত বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন বাংলার বিশিষ্টজনেরাও। সিদ্ধান্ত ঘোষণা না হলেও, ১লা বৈশাখেই সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গ দিবস ঘোষিত হতে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ। কিন্তু তার আগে বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ করাতে চান মমতা। তাই ঘোষণার আগে কেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস ঘোষণা করা প্রয়োজন, তার ব্যাখ্যা বিধানসভায় দিতে চান তিনি। তাই ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাবের আলোচনায় তিনিই হতে পারেন একমাত্র বক্তা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।