ডাক্তারি সংখ্যাল্পতায় ভুগছে দেশের প্রায় প্রতিটি এইমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস)। দিল্লি, কল্যাণী-সহ দেশের মোট ২০টি প্রান্তে চালু রয়েছে এইমস। কাশ্মীরের অবন্তিপোরা, হরিয়ানার রেওয়ারি এবং বিহারের দ্বারভাঙ্গায় চলছে এইমসের বিভিন্ন ভবন নির্মাণের কাজ। বেঙ্গালুরু এবং মণিপুরেও এইমস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশবাসীকে সুলভে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে একের পর এক এইমস গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, বাস্তব যা পরিস্থিতি, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি এইমসেই রয়েছে ডাক্তার ও অধ্যাপকের অভাব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একটি সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে ২০টি এইমসে মোট ডাক্তারের পদ রয়েছে ৪৫,৭৭৪। যার মধ্যে খালি রয়েছে ১৪,১৩০টি পদ। মোট ডাক্তারের সংখ্যাকে আবার ভাগ করা যেতে পারে দু’টি ভাগে। অধ্যাপক ও ডাক্তার। ভবিষ্যতের ডাক্তার তৈরি করার জন্য ২০টি এইমসে রয়েছে পাঁচ হাজার ৫২৭ জন অধ্যাপকের পদ। অথচ সেখানে কর্মরতের সংখ্যা ৩,৩৬৬। অর্থাৎ ২,১৬১ জন অধ্যাপকের পদ খালি। অর্থাৎ প্রায় ৪০ শতাংশ। আবার ২০টি এইমসে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া ডাক্তারের মোট সংখ্যা ৪০,২৪৭। যার মধ্যে ২৮,২৭৮ জন নিয়মিত কাজ করলেও ফাঁকা আছে ১১ হাজার ৯৬৯ ডাক্তারের জায়গা। যা ৩০ শতাংশের সামান্য কম।
প্রাচীনতম ও বৃহত্তম দিল্লি এইমস-এও রয়েছে বেশ কিছু খালি পদ। এখানে অধ্যাপকের জন্য বরাদ্দ সংখ্যা ১২০৭। যার মধ্যে প্রায় ২৯ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪৭টি পদ খালি। কর্মরত ডাক্তারের ক্ষেত্রে ফাঁকা পদ অবশ্য এত বেশি নয়। ১২,৮৭৮ বরাদ্দ ডাক্তারের মধ্যে পরিষেবা দিচ্ছেন ১০,৪৪৭ জন। কল্যাণীতে অধ্যাপক ও কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫৯ ও ১৫২০। যার মধ্যে খালি রয়েছে ১৫১ ও ৮৩৪টি করে পদ। শতাংশের বিচারে যা যথাক্রমে ৫৮ ও ৫৫।