ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে এখনও। একাধিক অভিযোগ তুলে ২রা অক্টোবর দিল্লীতে রামলীলা ময়দানে ধরনা কর্মসূচি নিয়েছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু সেই অবস্থানের অনুমতি দিল না দিল্লী পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লী পুলিশের এই ভূমিকা সম্পূর্ণ রাজনৈতির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির। বাংলার বঞ্চিত মানুষকে ভয় পেয়েই কর্মসূচির অনুমতি দিল না পুলিশ, দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। গত ২১শে জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখায় বঞ্চিত হচ্ছে বাংলার ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নিজের উদ্যোগে বঞ্চিত শ্রমিকদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে গান্ধী জয়ন্তী দিবসে রামলীলা ময়দানে ধরনা কর্মসূচি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। সেই কর্মসূচির জন্য ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত রামলীলা ময়দান ভাড়া চেয়েছিল তৃণমূল। বাংলা থেকে যাওয়া মনরেগা প্রকল্পের শ্রমিকদের ওই ময়দানেই রাখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। ২৩শে আগস্ট অনুমতি চেয়ে দিল্লী পুলিশকে চিঠি দেয় ঘাসফুল শিবির। কিন্তু বুধবার সেই আবেদন নাকচ করে দিল পুলিশ। তাদের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। এপ্রসঙ্গে মোদী সরকারকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ। বাংলার বঞ্চিত মানুষরা দিল্লীতে গিয়ে ধরনা দিত। সেখানে হাজির থাকবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের মোদী সরকার ভয় পেয়েছে। তাই কর্মসূচির অনুমতি দিল না”, কটাক্ষ তৃণমূল মুখপাত্রের।