এখনও বিজেপিশাসিত মণিপুরে নেভেনি জাতিহিংসার আগুন। এবার চূড়াচাঁদপুর ও বিষ্ণুপুর এলাকার সংঘর্ষে প্রাণ গেল আরও দু’জনের। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও এক। পুরো ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট সাত জন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও মেতেই অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। ঘটনার সূত্রপাত হয়, ত্রাণ শিবিরে এক কুকি ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু হলে। বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান জংমিনলুন গান্তে নামে সেই ব্যাক্তি। এরপরই অশান্তি ছড়ায় দুই গ্রামে। গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান লাইবুজাম ইনাও নামে এক মেতেই। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েক জায়াগার গুলির চলেছে। এছাড়াও বিক্ষোভকারীদের সমাবেশে মণিপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর ও থাউবাল জেলায় তল্লাশি চালিয়ে মণিপুর পুলিশ একটি বন্দুক, ২০টি কার্তুজ, সাতটি বোমা উদ্ধার করে। এরপর তারা সকলকে অনুরোধ জানান, লুট করা অস্ত্রসস্ত্র ও বিস্ফোরক কাছের কোনও থানা কিংবা নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে দ্রুত ফেরত দিয়ে দেওয়ার জন্য। গত ৪ মাস ধরে মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গায় উত্তপ্ত উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রায় দিনই সে রাজ্য থেকে সংঘর্ষ ও রক্তপাতের খবর মিলছে। গতকালের ঘটনার পর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯২। আহত বহু। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশা ও দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে মণিপুরবাসীদের। ফলত মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনায় মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। কবে এই হিংসা বন্ধ হবে, তার সদুত্তর মেলেনি এখনও।