বাংলার উপকূলীয় এলাকাগুলি প্রায়শই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে। সে অঞ্চলের মানুষকে আম্ফান-যশের মতো ঘূর্ণিঝড়ের হাত রক্ষা করতে বনসৃজনের উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সোমবার বিধানসভা ভবনে আয়োজিত বন মহোৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় যশের পরে দুই চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা উপকূলে ১৫ কোটি গাছ বসানো হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সুরক্ষায়, তাঁদের আশ্রয়ের জন্য বেশ কিছু সাইক্লোন সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। ভূমিক্ষয় রোধে আরও বেশি করে গাছ বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি, এদিন মমতা বলেন, “বাংলা নদীমাতৃক দেশ। ভাঙনপ্রবণ, যশের পর আমরা অনেক ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছি। ফ্লাড সেন্টার করেছি। বলেন, আমি সবুজ ভালবাসি, অরণ্য ভালবাসি। একটা গাছের পাতা পড়ে গেলে মনে হয় কাঁদছে। আবার গাছ ভরে গেলে আনন্দ হয়।” এরপর সবুজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের লেখা কবিতা পড়ে শোনান, ‘সবুজ বাঁচাও, সবুজ দেখাও।’ শ্বেতচন্দনের চারা রোপণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যপ্রাণীদের আক্রমণে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকার ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিধায়কেরা।
![অরণ্যসৃজনে বিশেষ গুরুত্ব মমতা সরকারের - ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলে বসেছে ১৫ কোটি গাছ, বনমহোৎসবের অনুষ্ঠানে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2023/08/14-3-2.jpg)