গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন নদিয়ার বগুলার ছেলে স্বপ্নদীপ কুন্ডু। আর তারপরই ইউজিসি-এর নির্দেশিকা মেনে সিসিটিভি বসছে যাদবপুরে। চাপের মুখে অবশেষে ওয়ার্ক অর্ডারে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার। তবে তা নিয়েই এবার ফের উত্তেজনা তৈরি হল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। কার অনুমতিতে সিসিটিভি? অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যকে ঘেরাও করে এমনই প্রশ্ন তুললেন পড়ুয়াদের একাংশ।
সূত্রের খবর, একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়েই ক্যাম্পাসে ১০ জায়গায় লাগানো হবে সিসিটিভি। খরচ, প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, বহিরাগতদের রুখতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলে গেটে এক্স-সার্ভিসম্যান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে আপত্তি রয়েছে যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দাবি, তখন অধ্যাপক সংগঠনের ডেপুটেশন জমা নিচ্ছিলেন তিনি। এদিন আচমকাই ভিতরে ঢুকে পড়েন একদল পড়ুয়া! বলেন, তাঁদের ডেপুটেশনও নিতে হবে। ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত হন উপাচার্য।
অভিযোগ, এরপর উপাচার্য বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আর একদল পড়ুয়া। শেষপর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের আগামিকাল, মঙ্গলবার ডেপুটেশন দিতে বলেন তিনি। এরপরই শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ! উপাচার্যের কাছে পড়ুয়ারা জানতে চান, ‘কার অনুমতিতে ক্য়াম্পাসে সিসিটিভি বসছে’? দেখার করার জন্য আপনার কাছে সময় চাইতে হবে’? পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সূত্রের খবর, যেকোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে সবপক্ষকে নিয়ে উপাচার্যকে বৈঠকের বসার দাবি তুলেছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।