গত সপ্তাহেই আমেরিকা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে শহরে ফিরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরই তাঁর সংস্থা তথা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশিতে নেমে পড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। আর তা করতে গিয়েই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার কম্পিউটারে ‘অচেনা’ ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করে যায় তারা। সেই ফাইল আপলোডিং সংক্রান্ত মামলায় ইডি ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংঘাতের পরিস্থিতি।
গত সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার তল্লাশির সময় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ১৬টা ফাইল ডাউনলোড করে দিয়েছে ইডি। দিন কয়েক আগেই সংস্থার আইনজীবী কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এৎ প্রেক্ষিতে ইডি-র জবাব তলব করেছিল পুলিশ। মেল করে উত্তর দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি-র তরফে। যাতে সন্তুষ্ট নয় লালবাজার। পাল্টা ইডি-কে মেল করেছে কলকাতা পুলিশ। সেখানে বলা হয়েছে যে, কোনও এক জন আধিকারিককে সশরীরে লালবাজারে এসে বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ওই সংস্থার আইনজীবী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় লালবাজারে গিয়ে অভিযোগ করেন যে, ওই সংস্থার কম্পিউটারে ‘অচেনা’ ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করে গিয়েছে ইডি। কীভাবে ওই ফাইলগুলি এলো, সেই নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে থাকে। লালবাজার এই ব্যাপারে ইডি-র কাছে বক্তব্য জানতে চিঠি পাঠায়। সেই চিঠির উত্তরে ইডি মেল মারফৎ দাবি করে যে, তাদের এক আধিকারিক ওই কম্পিউটারে মেয়ের জন্য হস্টেলের খোঁজ নিচ্ছিলেন, সে সময়ই ওই এক্সেল ফাইলগুলো ডাউনলোড হয়েছে! অন্যান্য অফিসারদের সামনেই ওই অফিসার মেয়ের হস্টেলের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন।
ইডির দাবি, ওই অফিসারের মেয়ে এ বছর শিবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছে। হস্টেলে থাকতে শুরু করেছে। তাই মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবেই কলেজের হস্টেল সম্পর্কে কম্পিউটারে নানান খবরাখবর নিচ্ছিলেন। হস্টেল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার সময়ই ওই ১৬টা এক্সেল ফাইল কোনওভাবে ডাউনলোড হয়ে থাকবে। এদিকে, এ নিয়ে সোমবার টিএমসিপির অনুষ্ঠানে ইডি-কে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘আমি যে দিন এসেছি, পরের দিন পাঠিয়ে দিয়েছে ইডিকে তল্লাশি করতে! আমার অফিসে গিয়ে তল্লাশি করেছে। তার সঙ্গে ১৬টা ফাইল একটা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে দিয়ে চলে এসেছে।’