নীতিশ কুমারের সরকারের করা জাতিগত সুমারিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল পাটনা হাইকোর্ট। ওই সুমারির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হলেও, তা খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এবার সেই মামায় হলফনামা জমা দিয়েও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। কেন্দ্র জানায়, ওই হলফনামায় অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। তাই সেটি তুলে নিতে চায় তারা।
প্রসঙ্গত, বিহার সরকারের জাতিগত সুমারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল যে, কোনও রাজ্য জাতিগত সুমারি করতে পারে না, এটা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সেই হলফনামাতেই ভুল ছিল বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। সোমবার এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয় শীর্ষ আদালতে। সেখানে জাতিগত সুমারি-কে ‘ইউনিয়ন সাবজেক্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়।
এই প্রসঙ্গে হলফনামায় সেন্সাস আইন, ১৯৪৮-এর কথা উল্লেখ করেছিল কেন্দ্র। দু’পাতার সেই হলফনামায় এও উল্লেখ করা হয় যে, এসসি, এসটি, ওবিসিদের উন্নয়নের জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেন্দ্র। এরপর ভুল হয়েছে বলে হলফনামা তুলে নেয় কেন্দ্র। পরে নতুন করে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, সেন্সাস আইন অনুযায়ী, জাতিগত সুমারি করা হয়। কেন্দ্র সেই সুমারি করতে পারে। সুতরাং বিহারের জাতি সুমারি আদৌ বৈধ কি না, তা জানতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।