তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সোমবার মেয়ো রোডের জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন একই মঞ্চে। মমতা জানান, তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকেই উঠে এসেছেন এবং তা নিয়ে গর্ব করে থাকেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি তিনি হয়েছেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন মমতা।
২০১৭ সাল থেকে রাজ্যে ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ। মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভোট হলেও তা প্রতি বছর হয়নি। সোমবার মেয়ো রোড থেকে মমতা সেই নির্বাচনের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনটা করতে পারেন, আমি জেলায় জেলায় নির্দেশ দিয়ে দেব।’
‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ইডির আধিকারিকেরা কম্পিউটারে যে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেছিলেন, তা নিয়ে মমতা বিজেপিকেই দুষেছেন। তাঁর কথায়, ‘এরকম প্রতিশোধপন্থী সরকার কখনও দেখিনি। নির্বাচনের আগে অভিষেককে গ্রেফতার করার হুমকি দিচ্ছে। ওর কম্পিউটারে যা ছিল, নিয়ে নিয়েছে। কাউকে না জানিয়ে ফাইল ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরাও কম্পিউটারে ওস্তাদ। তথ্য বার করে নিয়েছি আমরা। বুঝে গেছি ওই কম্পিউটারে তোমরাই ফাইল ঢুকিয়েছো।’
মেয়ো রোড থেকে রাজ্যের বাজি শ্রমিকদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ‘সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কিছুটা কম হবে। কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।’
কর্মসংস্থান ইস্যুতে মমতা বলেন, ‘হাওড়ায় আরও দু’লক্ষ, বানতলায় পাঁচ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। দেউচা পাঁচামিতে আরও এক লক্ষ মানুষ চাকরি পাবেন। চাকরির অভাব নেই। শিক্ষক পদে ২৪ হাজার শূন্যপদ আছে। কিন্তু নিয়োগ করতে পারছি না। কেউ না কেউ আদালতে মামলা করে দিচ্ছে। তাতে আটকে যাচ্ছে।’ চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারাই বলে দিন না কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে? দরকার হলে বিচারকের অধীনে পরীক্ষা হোক, আমার আপত্তি নেই। কিন্তু চাকরি তো হবে।’