গত শনিবার প্রকাশ্যে এসেছিল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের বেসরকারি স্কুলের এক ভিডিও। যেখানে দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার ওপর টানা এক ঘণ্টা ধরে অত্যাচার করতে দেখা গিয়েছিল অন্যান্য পড়ুয়াদের। জানা গিয়েছিল, ক্লাসের মধ্যেই মুসলিম সহপাঠীকে পেটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষিকা। তারপরই টানা এক ঘণ্টা ধরে তাকে সইতে হয়েছিল লাগাতার অত্যাচার। ভিডিওয় সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছে দেশ। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, এখন কেমন আছে ছোট্ট ছেলেটি? জানা যাচ্ছে, খুব একটা ভাল নেই সে। ঘটনার অভিঘাতে রাতে ঘুম আসছে না তার। তাকে মীরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেডিক্যাল চেকআপের জন্য।
ছেলেটির বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ও খুব মনমরা হয়েছিল। বলছিল রাতে ঘুমোতে পারছে না। তাই ওকে মীরাটে চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে ডাক্তার জানিয়েছেন, ও ঠিক আছে। আসলে যেভাবে রিপোর্টার-সহ অনেকেই ওকে নেহা পাবলিক স্কুলের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করছিল তাতে ওর সমস্যা হচ্ছিল।’ অন্যদিকে, সহপাঠীদের হাতে নিগৃহীত শিশুটি জানিয়েছে, ‘নামতা পড়ে স্কুলে যাইনি। তাই ভুল হয়েছিল। তখনই সহপাঠীরা আমাকে মারধর শুরু করে। শিক্ষকের নির্দেশেই আমাকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়।’
এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, ঘরের ছেলেকে আর ওই স্কুলে রাখতে রাজি নয় তার পরিবার। এদিকে, এই ঘটনাএ ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের মুখে পড়েছে নেহা পাবলিক স্কুল। ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে রাখা হবে কিনা এপ্রসঙ্গে মুজফফরনগর বেসিক শিক্ষা অধিকারী শুভম অধিকারী জানিয়েছেন, পুলিশ কী পদক্ষেপ করে সেটা দেখেই পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি ওই স্কুলের অনুমোদন পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনজন শিক্ষিকা নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কীভাবে পঠনপাঠন চালানো হচ্ছিল, তা নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছে।