বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত নানান জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘কৃষকবন্ধু’। রাজ্যজুড়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই প্রকল্প। এই মুহূর্তে বাংলায় কৃষকবন্ধু প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ৯৮.২১ লক্ষ। আর আগামী কিছুদিনের মধ্যেই কৃষকবন্ধুর উপভোক্তা সংখ্যা ১ কোটির গণ্ডি পেরোতে চলেছে। সেপ্টেম্বরে দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজিত হওয়ার কথা। ফলে আরও বাড়তে পারে উপভোক্তা সংখ্যা। দুর্গাপুজোর আগেই এক কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে উপভোক্তা সংখ্যা, এমনই অনুমান করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিগত ২০১৯ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু হয় রাজ্যে। এক একরের কম জমি থাকলে, একজন কৃষক বছরে দুই দফায় চার হাজার টাকা পান। তার অধিক পরিমাণ জমির মালিক কৃষকরা বছরে দশ হাজার টাকা করে পান। চলতি বছরের খারিফ মরশুমে ৯৮.২১ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ২,৬৯৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে রাজ্য। কৃষক মৃত্যুর কারণে, এই অর্থবর্ষে ১৬,৭৮৩টি পরিবারকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অধীনেই ৩৩৫.৬৬ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে রাজ্য সরকার।
এপ্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রকল্পের সুযোগ, সুবিধা থেকে যাতে কোনও আবেদনকারী বাদ না পড়েন, সেইভাবেই কাজ করছে রাজ্য। বাদ পড়ে যাওয়া আবেদনকারীদের বাড়িতে গিয়ে সমস্ত নথি সংগ্রহ করবেন জেলায় নিযুক্ত কৃষি আধিকারিকরা। উপভোক্তা সংখ্যা এক কোটি হাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। মোদী সরকারের পিএম কিষাণ প্রকল্পের অধীনে বাংলার ৪৪.৭৪ লক্ষ কৃষক ভাতা পান। কিন্তু রাজ্যের প্রকল্পে, কেন্দ্রের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি উপভোক্তা। ওয়াকিবহালমহলের মতে, কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধা পেতে একাধিক শর্ত পূরণ করতে হয়। রাজ্যের প্রকল্প পাওয়া অনেক সহজ, শর্তের শৃঙ্খল নেই কেন্দ্রের মতো। বাংলায় কৃষকরা যেসমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন, তা অনেক রাজ্যেই নেই। সামগ্রিকভাবে লাভবান হচ্ছেন রাজ্যের কৃষকরাই। বাংলার কৃষকদের গড় আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রভূত ইতিবাচক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।