গত ১ অগস্ট মুকেশ আম্বানীর জিও ভারতে লঞ্চ করেছে তাদের নতুন ল্যাপটপ জিওবুক। যার দাম ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকা। আর ঠিক তার দু’দিন পর অর্থাৎ ৩ অগস্ট বিদেশ থেকে ল্যাপটপ, পার্সোনাল কম্পিউটার, ট্যাবলেটের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। আর তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ওই বিধিনিষেধ এখনই কার্যকর হচ্ছে না বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিনা লাইসেন্সে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার (ট্যাবলেট কম্পিউটার-সহ) আমদানি করা যাবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে লাগবে সরকারের লাইসেন্স। এবার সেই সিদ্ধান্ত আদৌ কার্যকর হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। কারণ, বহুজাতিক একঝাঁক সংস্থা ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরাসরি মার্কিন সরকারের কাছে সুবিচার চেয়েছে। যে তালিকায় অ্যাপল, গুগুল, লেনোভো, ডেল, এইচপি তো আছেই, রয়েছে একঝাঁক মার্কিন বাণিজ্য সভা, সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানি সংস্থা।
জানা গিয়েছে, গত ১৫ আগস্ট তারা সম্মিলিতভাবে চিঠি লিখেছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগকে। তাদের অনুরোধ, ভারত সরকারের সঙ্গে বাইডেন সরকার যেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলে। সূত্রের খবর, এবার মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চলেছে। কোনও একটি মধ্যপন্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। আমেরিকার চাপ ভারত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, বিদেশি ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, পিসি আমদানি আর অবাধে করা যাবে না। করতে হলে বিশেষ লাইসেন্স নিতে হবে সরকারের থেকে। উদারীকরণের আগের ভারতে বাণিজ্যমহলের কাছে সবথেকে বড় আতঙ্কই ছিল লাইসেন্স-রাজ। আবার সেই প্রথা ফিরে আসছে কি না, সেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আর তার থেকেও বেশি হল, এভাবে তাবৎ বিদেশি ল্যাপটপ, পিসি ও ট্যাবলেট আমদানিতে রাশ টানা হলে সর্বাগ্রে যেটা হবে, সেটা হল ভারতের বাজারে এই পণ্যগুলির জোগান কমে যাবে আচমকা। এবং তার ফলে প্রবল দামবৃদ্ধি হবে।