মিজোরাম থেকে কফিন মিছিল পৌঁছল মালদহে। গ্রিন করিডর করে ১৮ জন শ্রমিকের দেহ নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার আবার ময়নাগুড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কে যানজট থাকায় তাঁদের দেহ ময়নাগুড়ি শহর হয়ে দোমহনি পার করে তিস্তা ব্রিজ ধরা হয়। ফের জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি ঘোষ পুকুর হয়ে মালদহে পৌঁছয় কফিনবন্দি দেহ।
রাতেই অসহায় পরিবারগুলো তাঁদের আপনজনের নিথর দেহ দেখতে পান। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বাকি ৬ জনের দেহ শনিবারের মধ্যে এসে পৌঁছবে। জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিহতদের পরিবারকে মৃতদেহ নেওয়ার বিষয়ে সবরকম সরকারি কাজে সাহায্য করা হচ্ছে। দেহগুলিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে শনিবার মৃতদের নাম পরিচয় মিলিয়ে দেহ হস্তান্তর করা হবে।
জানা যাচ্ছে, মালদহের পুখুরিয়ার চৌদুয়া গ্রামেই সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে। মালদহে মৃতদের মধ্যে ১৬ জনই পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ইংলিশ বাজারের ৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, গাজোল ও কালিয়াচকের এক জন করে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিজোরামের আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাং এলাকায় নির্মীয়মান রেলব্রিজ ভেঙে পড়ে। মৃতদের ২৩ জনই মালদহের।