মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে রক্ষা নেই, দোসর ভূমিধস। আর এই দু’য়ের সাঁড়াশি চাপে বেশ কিছুদিন ধরেই বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। গতকালই সেখানে একাধিক বাড়ি ধসে ভেঙে পড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কংগ্রেস নেতারা। মোদী সরকারের কাছে বারবার তাঁরা এই ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ কংগ্রেস শাসিত রাজ্যবলে হিমাচল প্রদেশ নিয়ে তেমন ভাবছে না মোদী সরকার। এখানকার মানুষের কথা ভাবছে না কেন্দ্র। এদিকে এই দুর্যোগে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড বর্ষণ হয়েছে হিমাচল প্রদেশের যোগিন্দর নগরে। ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। পালমপুরে বৃষ্টি হয়েছে ১৪৬ মিলিমিটার। শিরমুরে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সিমলা শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৮০ মিলিমিটার। আজও কমবে না এ হেন ভারী বর্ষণ। আইএমডি হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি আলগা হয়েই একাধিক জায়গায় ধস নামছে। গতকাল কুল্লুতে ৮টি বহুতল বাড়ি পর পর ধসে পড়েছিল। অতি বর্ষণে বিধ্বস্ত পরিস্থিতি হিমালচল প্রদেশের মাণ্ডির।
ধসের জেরে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেখান থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন। বায়ুসেনার কপ্টারে করে হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। সেই সঙ্গে ত্রাণও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি জেলার খোলনালা গ্রামে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে তাতে প্রায় ৫১ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে এনডিআরআফের বিশেষ দল। হিমাচল প্রদেশের ৭০০-র বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধসের কারণে।