বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে সেগুলি। এদের মধ্যে অন্যতম হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ২২ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকা। বিধানসভায় এমনই তথ্য দিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের আরও এক জনপ্রিয় প্রকল্প রুপশ্রীর খরচের খতিয়ানও দিয়েছেন শশী। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০২১ নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। সেইমতো ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যে চালু হয় এই কর্মসূচি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা ও অন্যান্য মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। শুরুতে এই ভাতা পেতেন ২৫-৬০ বছর বয়সিরা। ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তাঁরা পেতেন বার্ধক্য ভাতা। গত রাজ্য বাজেটে ঘোষণা করা হয়, এবার ষাটোর্ধ্ব মহিলারা বার্ধক্য ভাতা-সহ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন। সেই প্রকল্পও চালু হয়েছে। শুক্রবার বিধানসভায় মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ২রা আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার মধ্যে থাকা ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৩৫ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় আছেন। গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা ১,৯৮,৩৭,০৩৩ জন। লক্ষীর ভাণ্ডারে খরচ হয়েছে ২২ হাজার কোটির বেশি। আর ২০১৮-র এপ্রিল থেকে ৩রা আগস্ট, ২০২৩ পর্যন্ত রূপশ্রীর জন্য ৪,১২৬.৯২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজ্য সরকার।