কাটোয়া ২ ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোরানাশ গ্রামে তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা জগবন্ধু দালাল। তাঁত বুনেই সংসার চালান তিনি। তবে অভাবের মধ্যেই একটি তাঁতের শাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছিলেন জগবন্ধু। ইচ্ছে ছিল, কোনও দিন সুযোগ হলে নিজেই হাতে বোনা ওই শাড়ি তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। অবশেষে সেই ইচ্ছেপূরণ হলো জগবন্ধুর। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের হাতে ওই শাড়ি উপহার দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, স্বপ্ন সত্যি হতে ঘোর কাটছে না জগবন্ধুর। তিনি বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি স্বপ্নপূরণ হবে ভাবিনি। সবটা এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না।’ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর অবয়বের সঙ্গে ওই তাঁতের শাড়িতে জগবন্ধু ফুটিয়ে তুলেছেন কন্যাশ্রী, সবুজসাথী-সহ মমতার চালু করা বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও। ৩১ দিন লেগেছে তাঁর ওই কাজ শেষ করতে। সম্প্রতি এই সংবাদ পত্রে জগবন্ধুর শাড়ি বোনার খবরটি প্রকাশিত হয়। ওই সময়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার একটাই ইচ্ছে, নিজের হাতে দিদিকে এই শাড়ি উপহার দিতে চাই।’ বুধবার কলকাতায় বিশ্ববাংলার অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানেই শাড়িটি তিনি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে।
জগবন্ধু জানান, ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তন্তুজর আধিকারিকরা বিশেষ সাহায্য করেছেন তাঁকে। বলেন, ‘দিদি শাড়ি দেখে খুশি হয়েছেন। উনি বলেছেন, খুব সুন্দর কাজ হয়েছে। এটা আমি রেখে দেব।’ সল্টলেকে বাংলার তাঁতের শাড়ির শো-রুমে শাড়িটিকে ফ্রেমবন্দি করে রাখা হবে বলে জগবন্ধুকে জানানো হয়েছে। এই কাজের জন্য তাঁকে পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও জগবন্ধু বলেন, ‘আমি যা চেয়েছিলাম তা পেয়েছি। আমার পারিশ্রমিক আমি পেয়ে গিয়েছি।’ এদিকে, শাড়ি পেয়ে বেজায় খুশি মমতাও। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি তাঁত বস্ত্রকেন্দ্রে ওই শাড়ি ফ্রেম করে রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।