চলতি বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন নীরজ চোপড়া। প্রথম থ্রোয়েই বাজিমাত করলেন তিনি। নিজের প্রথম থ্রোয়ে ৮৮.৭৭ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়লেন নীরজ। অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের থ্রোয়ের থেকেও বেশি দূরে জ্যাভলিন ছুড়লেন তিনি। ফাইনালে উঠলেন আরও দুই ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার। শুক্রবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যাভলিনে গ্রুপ এ-র লড়াই ছিল। সেখানে ৮৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়তে পারলে সরাসরি ফাইনালে ওঠার সুযোগ ছিল। নীরজ ৮৮.৭৭ মিটার ছুড়ে সেই কাজটাই করে ফেললেন। অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের জন্য নীরজ ছুড়েছিলেন ৮৭.৫৮ মিটার। তার থেকেও বেশি দূরে জ্যাভলিন ছুড়লেন নীরজ। এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত সব থেকে দূরে জ্যাভলিন ছুড়লেন তিনি। ঋর সঙ্গে সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিক্সেরও যোগ্যতা অর্জন করে ফেললেন নীরজ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য যে দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়েছিলেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সোনা জয়ী, তাতেই পরের অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করলেন তিনি। ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য এই বছর ১ জুলাইয়ের পর কোনও প্রতিযোগিতায় ৮৫.৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়তে হত। সেটাই করলেন নীরজ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জন করার সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিক্সেও নিজের জায়গা পাকা করে ফেললেন তিনি। শুক্রবার নীরজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৮৮.৭৭ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়েছেন। পাকিস্তানের আরশাদ নাদিমও প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ৮৬.৭৯ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গ্রপ এ থেকে একমাত্র নীরজই সরাসরি ফাইনালে উঠলেন। ভারতের আরও এক জ্যাভলিন থ্রোয়ার ডিপি মানু গ্রুপ এ-তে তিনি। মানু ৮১.৩১ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়েছিলেন। এই গ্রুপে তিন নম্বরে শেষ করেছিলেন মানু। ফাইনালে উঠলেন তিনিও। গ্রুপ বি-তে ছিলেন ভারতের কিশোর জেনা। তিনি ৮০.৫৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করলেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যাভলিনের ফাইনালে রয়েছেন তিন জন ভারতীয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামার আগে নীরজ বলেছিলেন, ‘‘নিজের ফিটনেস বাড়াতে আরও পরিশ্রম করতে হবে, যাতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মঞ্চে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে সোনা জিততে পারি। সেটাই তো আমার স্বপ্ন।’’ গত মাসে চোট সারিয়ে ফিরে লুসেন ডায়মন্ড লিগে শীর্ষ স্থানে শেষ করেছিলেন ভারতের অলিম্পিক্স পদকজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার। চোটের কারণে বেশ কিছু দিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। ফিরেই সেরা হয়েছিলেন নীরজ। ২৫ বছরের নীরজ তার আগে দোহা ডায়মন্ড লিগে সেরা হয়েছিলেন। তার পরেই চোটের কারণে একের পর এক প্রতিযোগিতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ফিরেছিলেন আবার ডায়মন্ড লিগেই। “নিজের ফিটনেস বাড়াতে আরও পরিশ্রম করতে হবে, যাতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ মঞ্চে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে সোনা জিততে পারি। সেটাই তো আমার স্বপ্ন”, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামার আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন নীরজ।