গত ২৩ অগস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। তবে ইসরোর সেই কৃতিত্বে ভাগ বসাতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিক্রমের চাঁদে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই লাইভ টেলিকাস্টে গোটা স্ক্রিন জুড়ে উদয় হতে দেখা যায় তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই পরোক্ষে নিজেকে সাফল্যের ভাগীদার বানাতে কসুর করেননি মোদী। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস! যেই মুহূর্তে চাঁদে পৌঁছে ইতিহাস গড়ল ভারত, ঠিক সেই সময়েই দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে রচিত হল এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বিশ্বের বুকে নির্বাসিত ভারতীয় কুস্তি সংস্থা। ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং ইতিমধ্যে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না করার ‘অপরাধে’ই ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
এর অর্থ, ভারতীয় কুস্তিগীররা আগামীদিনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের পতাকা নিয়ে খেলতে নামতে পারবেন না। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হতে চলেছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি প্যারিস অলিম্পিক্সে আবার যোগ্যতাও অর্জন করতে হবে। কুস্তির লড়াইয়ে বিশ্বের দরবারে উড়বে না তেরঙা, বাজবে না জাতীয় সঙ্গীত! আর এই কলঙ্কিত পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী কেন্দ্রের মোদী সরকার। বছরের পর বছর কুস্তি সংস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে গেরুয়া শিবির। সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ দেশের হয়ে পদক জেতা ভারতীয় কুস্তিগিররাই। প্রশ্ন উঠছে, চন্দ্রযান সাফল্যে ভাগ তো বসালেন, কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাসনের দায় নেবেন না তিনি?