তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহে ফিরে এলেন দেবী। গর্ভগৃহ সংস্কার ও একাধিক কাজের জন্য চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে বন্ধ ছিল তারাপীঠ মন্দির। মা তারাকেও স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শুক্রবার ভোরে দেবীকে ফেরানো হল গর্ভগৃহে। তবে সংস্কার পরবর্তী তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়ায় জারি হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। এবার থেকে আলতা, নারকেল ইত্যাদি নিয়ে আর গর্ভগৃহে নিয়ে পুজো দেওয়া যাবে না। তাতে দেবীর বেশভূষা ও মন্দিরের দেওয়াল, মেঝে নষ্ট হয়। তাই সংস্কারের পর এসব গর্ভগৃহে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার তারাপীঠের সেবাইত কমিটি মন্দিরের গর্ভগৃহ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার থেকেই শুরু হয় কাজ। দেবীকে পাশের ভৈরব মন্দিরে স্থানান্তরিত করে সেখানে চলে পূজার্চনা। এদিকে, গর্ভগৃহের বেদিতে নিত্যপুজোও চলছিল। গর্ভগৃহের মেঝে, দেওয়াল সমস্ত নষ্ট হয়েছে। সেসব ঠিক করা হয়েছে।
পাশাপাশি, দেবীর স্নানের জল যেখান দিয়ে বেরয়, সেই নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বসানোর জন্য পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। তবে এখনই এসি বসছে না। ১৩ সেপ্টেম্বর, কৌশিকী অমাবস্যার আগে সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মন্দিরের সেবাইত কমিটি। এছাড়া সেবাইত কমিটির তরফে সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ”এবার থেকে আলতা, নারকেল নিয়ে ভক্তরা গর্ভগৃহে আর ঢুকতে পারবেন না। সিঁদুর নিয়ে গেলেও তা খোলা যাবে না। এসবের জেরে দেবীর বেশভূষার সৌন্দর্য হয়। এছাড়া নারকেল ফাটানোর জেরে মেঝে ও দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এসব এখন থেকে নিষিদ্ধ।” তবে তিনি জানিয়েছেন, গর্ভগৃহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এবার থেকে নির্বিঘ্নে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা।