কেউ লিখিত ভাবেই দলকে জানিয়ে দিচ্ছেন। কেউ আবার জানাচ্ছেন দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে রদবদলের পর থেকেই দলীয় পদাধিকারীদের পদত্যাগের হিড়িক শিলিগুড়িতে। চলতি সপ্তাহের বুধবার থেকে শিলিগুড়ি এবং মহকুমার বিভিন্ন অঞ্চলের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি, দলের মহিলা মোর্চা এবং যুব মোর্চার পদাধিকারীদের একটি বড় অংশ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ বার পদত্যাগপত্র জমা দিলেন এক বিধায়কও।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ফাঁসিদেওয়ার বিজেপি বিধায়ক দুর্গা মুর্মু। বিজেপি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েক নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে উত্তরবঙ্গ গেরুয়া শিবিরের ‘গড়’ বলেই পরিচিত। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনও রয়েছে। তার ঠিক আগে পাশের শিলিগুড়িতে একের পর এক নেতার দলীয় পদ থেকে এই ভাবে ইস্তফায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি তৈরি হওয়ার কথা দলের অন্দরে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের পদত্যাগপত্রে অবশ্য সাংগঠনিক পদে রদবদল নিয়ে ক্ষোভের কথা নেই। পদত্যাগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভা এবং নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণেই সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। বিজেপিতে পদ ছাড়ার হিড়িক নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘বিগত দু’-তিন বছর ধরে আদি বিজেপি এবং তৎকাল বিজেপির মধ্যে একটা মতপার্থক্য দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ সময়েই তা প্রকাশ্যে চলে আসছে। এদের মধ্যে কোনও তালমিল বা সমঝোতা নেই। তৃণমূল-সহ অন্যান্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, যাঁরা প্রচুর দুর্নীতি করেছেন, এই সমস্ত ঘটনার পিছনে তাঁরাই রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অবস্থা খুবই করুণ। সাংগঠনিক ভাবে তারা ব্যর্থ। তাই তাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির সাহায্য নিতে হচ্ছে।’