সোনিয়া গান্ধীর জন্মদিন হল ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ। এই ডিসেম্বর মাসে ৭৭ বছর পূর্ণ করে ৭৮-এ পা দেবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। অনেকে ধরেই নিয়েছেন, সনিয়া এবার আর উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী থেকে নির্বাচনে লড়বেন না। পরিবর্তে সেখানে প্রার্থী হতে পারেন উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সনিয়া গান্ধী।
কিন্তু এরই মধ্যে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের শরিক দল শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) দাবি করল প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হোক বারাণসীতে। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের কথায়, প্রিয়ঙ্কা বারাণসীতে জনপ্রিয়। ও সেখানে প্রার্থী হলে অমেঠি, রায়বেরলী আর বারাণসী বিজেপির জন্য জেতা কঠিন হয়ে যাবে।
সঞ্জয় রাউত যে কথাটা খোলাখুলি বলেছেন, তা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, বারাণসীতে এবার একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হোক। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে নেহরু গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক বহুদিনের। প্রয়াগরাজের আনন্দ ভবনে থাকতেন মতিলাল নেহরু। সেই থেকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মাটিতে মিশে রয়েছে কংগ্রেসের ঐতিহ্য। তাঁদের মতে, বারাণসীতে ভোট ভাগাভাগি রুখে দিতে পারলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু এই প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের অমেঠি ও রায়বরেলী আসন দুটি ঐতিহাসিক ভাবে কংগ্রেসের কাছে ছিল। ১৯৮০ সালের লোকসভা ভোটে অমেঠি থেকে জিতেছিলেন সঞ্জয় গান্ধী। পরে ১৯৮৪, ৮৯ এবং ৯১ সালের লোকসভা ভোটে রাজীব গান্ধী অমেঠি থেকে জিতেছিলেন।