শেষেমেশ মিটল কিলিয়ান এমবাপে ও প্যারিস সঁ জরমঁ কর্তৃপক্ষের দ্বৈরথ। সূত্র অনুযায়ী, দু’তরফের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনার পর বরফ গলেছে। ফরাসী স্ট্রাইকারকে আবার প্রথম দলে ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। নতুন চুক্তি নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এমবাপের। তাঁকে প্রাক-মরসুম সফরেও নিয়ে যায়নি ক্লাব। অনুশীলন করতে দেওয়া হচ্ছিল না ক্লাবের প্রথম দলের সঙ্গে। রিজার্ভ দলের সঙ্গে কিছু দিন অনুশীলন করা ২৪ বছরের স্ট্রাইকারও পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে সতীর্থদের বলেছিলেন, প্রতিযোগিতামূলক যে কোনও ম্যাচে লুই এনরিকের দলকে হারিয়ে দেবেন। দরকারে গোটা মরসুম বেঞ্চে বসে কাটিয়ে দেবেন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। তবে আলোচনার পর দু’পক্ষের দূরত্ব মিটেছে। পিএসজি কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়েছেন, ‘‘এমবাপের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। ওকে আমরা আবার প্রথম দলের অনুশীলনে অন্তর্ভুক্ত করছি।’’ এ দিন থেকেই এই মরসুমের লিগ ওয়ান অভিযান শুরু করছে পিএসজি। প্রথম প্রতিপক্ষ লরিয়েন্ট। সেই ম্যাচের আগে এমবাপের সঙ্গে ক্লাবের সমস্যা মিটে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া সদস্য ও সমর্থকদের মনে।
উল্লেখ্য, ১৭ বছর বয়সে মোনাকো থেকে লোনে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন এমবাপে। সেই ২০১৭ সাল থেকে তিনি খেলছেন ক্লাবের হয়ে। এমবাপের সঙ্গে ২০২৪ সালের অগস্ট পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে পিএসজির। ফ্রান্সের ক্লাবটি চাইছে তাঁর সঙ্গে আরও ১২ মাসের চুক্তি করতে। ৩১শে আগস্টের মধ্যে তাঁকে নতুন চুক্তি সই করতে বলেছিলেন পিএসজি কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের এই প্রস্তাবে রাজি হননি এমবাপে। তিনি চান চুক্তি শেষ হওয়ার পর ফ্রি ফুটবলার হিসাবে নতুন চুক্তি করতে। অন্য ক্লাবেও যাতে ফ্রি ফুটবলার হিসাবে যোগ দিতে পারেন, সেই রাস্তা খোলা রাখতে চেয়েছিলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। একাধিক বার আলোচনার পরেও সহমত হতে পারেননি দু’পক্ষ। তা থেকেই তৈরি হয় দূরত্ব। ইউরোপের ফুটবল মহলের খবর, পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর এমবাপেকে নিতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। দু’পক্ষের কথাবার্তাও অনেক দূর এগিয়েছে। মতানৈক্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সপ্তাহে পিএসজির স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফরাসি স্ট্রাইকারের পোস্টার। ক্লাবের দোকানে বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয় এমবাপের নাম লেখা জার্সিও। চুক্তি শেষ হওয়ার পর এমবাপেকে ছাড়তে আপত্তি নেই পিএসজি কর্তৃপক্ষের। তবে তাঁকে খালি ছাড়তে নারাজ ক্লাব কর্তারা। এমবাপেকে যে কোনও ক্লাবে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করতে চায় তারা।
