রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর বাংলাবাসীর জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেগুলি। এদের মধ্যে অন্যতম হল কন্যাশ্রী। স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে এবং নারী শিক্ষার হার বাড়াতে বিগত ২০১৩ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা। চলতি বছরে পূর্ণ হচ্ছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের এক দশক। এই উপলক্ষ্যে একটি বই প্রকাশের কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৪ই আগস্ট ধনধান্য অডিটরিয়ামে পালিত হবে কন্যাশ্রী দিবস। সেখানেই এই বই প্রকাশিত হবে। সেই সঙ্গে পুরস্কৃত করা হবে কৃতী কন্যাশ্রীদের। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে কত টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার? পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
১) মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুটের হার ১৬.২৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১.৭৪ শতাংশ।
২) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও স্কুলছুটের হার যথেষ্ট কমেছে। ১৫.৪ শতাংশ থেকে তা ৭.০৮ শতাংশ হয়েছে।
৩) গত ১০ বছরে কন্যাশ্রীতে উপকৃত মেয়ের সংখ্যা হয়েছে ৮১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩৪৫ জন।
৪) চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে।
৫) এই প্রকল্পের প্রথম দু’টি ভাগ- K1 এবং K2 রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর।
৬) প্রথম দু’টি ভাগে ১০ বছরের উপভোক্তার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
৭) K3-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরকে।
৮) প্রথমে ১৩-১৮ বছর বয়সী পড়ুয়ারা K1-এর অধীনে পেত ৫০০ টাকা। পরবর্তীকালে দুই পর্যায়ে তা বাড়িয়ে করা হয় বার্ষিক ১০০০ টাকা।
৯) উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরে K2-র অধীনে প্রত্যেককে দেওয়া হয় এককালীন ২৫ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুকরণেই ২০১৪ সালে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প চালু করে মোদী সরকার। রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রের এই প্রকল্পে ২০১৪-১৫ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোদী সরকার খরচ করেছে মাত্র ১,২৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে আবার ৪০১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে শুধুমাত্র প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দিতে, বারবার এমনই অভিযোগ উঠেছে একাধিক মহলে।